কারক এবং বিভক্তি করার নিয়ম/ how to do Karok & bivokti

                                   -: কারক :-             
1. কর্তৃকারক:-             যে ক্রিয়া সম্পন্ন করে তাকে কর্তা বা কর্তৃপদ বলে এবং ক্রিয়ার সঙ্গে তার যে সম্পর্ক থাকে তাকে কর্তৃকারক বলে।
মাধ্যমিক বাংলা ব্যাকরণ সাজেশন 2022-23

        যেমন:- ১) মা শিশুকে চাঁদ দেখায়( কে)
                   ২) ছেলেরা মাঠে খেলা করে( কারা)

Geography suggestions 2023 Click here

 কর্তৃকারকের  প্রকারভেদ:-
                     কর্তৃকারক কে মূলত  বিশেষ কয়েকটি  ভাগে ভাগ করা যায়, যেমন:-

** প্রযোজক কর্তা-:
                  যখন  কর্তা  নিজে কাজটি না করে অপরকে দিয়ে কাজটি   করিয়ে নেয়, তখন তাকে বলা হয় প্রযোজক কর্তা।
                   যেমন:-   বাবা শিশুকে চাঁদ দেখান।

**  প্রযোজ্য কর্তা-:
                    অপরের প্রেরণায় যে ক্রিয়া সম্পাদন করে তাকে বলা হয় প্রযোজ্য কর্তা।
            যেমন:-  তারা শিশুটিকে কাঁদাচ্ছে কেন?

** অনুক্ত কর্তা:-
                 কর্ম বাচ্যে বা ভাববাচ্যে কর্তার সঙ্গে ক্রিয়ার সরাসরি সম্পর্ক থাকে না, কর্তা উহ্য বা অনুক্ত হয়ে পড়ে। এই জাতীয় কর্তা কে অনুক্ত কর্তা বলে।       যেমন:-  রবীন্দ্রনাথ  কর্তৃক  গীতাঞ্জলি রচনা হয়েছে।

** ব্যতিহার কর্তা:-
               যখন  বাক্যে    থাকা দুই কর্তা একটি ক্রিয়া সম্পাদন করে, তখন ওই দুই কর্তা কে বলা হয় ব্যতিহার কর্তা।  যেমন:- পণ্ডিতে পণ্ডিতে  তর্ক।

**কর্ম-কর্তা:-
        ব্যাকরণে যে কর্ম সে যদি কর্তা হয় , তবে তাকে কর্ম-কর্তা বলে। যেমন -:  অন্ন যেতেছে লুটিয়া।


  2. কর্মকারক:-          এর কর্তা যাকে( যে পদ) আশ্রয় করে কোন কাজ সম্পন্ন করছে সেই পদকে বলে কর্মপদ এবং  ক্রিয়ার সঙ্গে তার সম্পর্ক কে  কর্মকারক বলে।  যেমন:-  তপন বাবু মলয় কে  জীবনবিজ্ঞান পরান।

     কর্ম কারকের প্রকারভেদ:- কর্ম কারকের কিছু প্রকারভেদ রয়েছে যেমন:-
     ** মুখ্য কর্ম ও গৌণ কর্ম -:
                           দ্বিকর্মক ক্রিয়ার যে কর্ম টিতে কোনো বিভক্তির চিহ্ন থাকে না, সেই কর্মটিকে মুখ্য কর্ম বলে এবং যে কর্ম টিতে বিভক্তির চিহ্ন থাকে সেই গৌণ কর্ম বলে । (Trick-:  ক্রিয়ার কাছে কি প্রশ্ন করলে উত্তরে মুখ্য কর্ম পাওয়া যায় এবং কাকে দিয়ে প্রশ্ন করলে উত্তরে গৌণ কর্ম পাওয়া যায়।)   যেমন-:  সম্রাট মহর্ষি কে পাঁচটি গাভী দিলেন।

   উদ্দেশ্য কর্ম ও বিধেয় কর্ম:-
                       যখন দ্বিকর্মক ক্রিয়ার  একটি কর্মকে উদ্দেশ্য করে একটি কর্ম প্রযুক্ত হয়, প্রথম কর্মটি উদ্দেশ্য কর্ম এবং দ্বিতীয় কর্মটি  কর্ম বলে। ( Trick:-  উদ্দেশ্য কর্মে বিভক্তি যুক্ত থাকে এবং   বিধেয়কর্মে বিভক্তি যুক্ত থাকে না।)
           যেমন:-  শিক্ষক মহাশয় কে যো শ্রদ্ধা  করো।

 কর্মের বীপ্সা:-
            কর্মপদের পুনরাবৃত্তি হলে কর্মের বীপ্সা হয়।   যেমন :- ১) যা যা বলছি করো ।
                       ২) জনে জনে নিমন্ত্রণ করেছি।

 3. করণ কারক-:
           কর্তা যার দ্বারা বা যার সাহায্যে কর্ম করে তাকেই করণকারক বলা হয়। যেমন:- এই কলমে ভালো লেখা যায়।
 করণ কারকের প্রকারভেদ:-
 এই কারকের কিছু প্রকারভেদ রয়েছে যেমন:-
    ** লক্ষণাত্মক করন-:
                  যখন কোন লক্ষণ বা চিহ্নের দ্বারা কোন ব্যক্তি বা প্রাণী বা বস্তুকে বোঝায় তখন সেই চিহ্ন কে লক্ষণাত্মক করণ বলা হয়। যেমন-: শিকারি বিড়াল গোঁফে চেনা যায়।

 **হেতুময় করণ:-
           হেতু বা কারণ অর্থে যখন করণকারক হয় তখন  এই কারক হয়। যেমন:- তোমার সুখে আমি সুখী।
** কালাত্মক করণ:-      ১)    তিন দিনে ঝগড়া মিটে গেল।
         
** করণের বীপ্সা:-
     ১) পোস্টারে পোস্টারে দেওয়াল ছয়লাপ।
    ২) তারায় তারায় ভরা নিশিথ আকাশ।

टिप्पणियाँ

इस ब्लॉग से लोकप्रिय पोस्ट

Madhyamik Geography Map pointing

Madhyamik English to Bengali Suggestion ( বঙ্গানুবাদ)

মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন/ Madhyamik Bengali Suggestions ( WBBSE) (ABTA Solved Papers)