2023 এর মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রবন্ধ রচনা গুলির সাজেশন নিয়ে আজকে আমরা আলোচনা করব।
প্রবন্ধ রচনা কৌশল:-
আমরা যে বিষয়টির উপর প্রবন্ধ লিখব বা লিখতে হবে প্রথমে সেটিকে মনে মনে তিনটি অংশে ভাগ করে নিতে হবে যথা 1.ভূমিকা 2.মূলবিষয় এবং 3.উপসংহার
এবং মূল বিষয়টিকে কতগুলি উপ বিভাগে ভাগ করে নিতে হবে। এটিকে প্রয়োজন অনুসারে কমপক্ষে চার থেকে পাঁচটি পয়েন্টে ভাগ করা যেতে পারে।
বাংলা প্রবন্ধ রচনা সাজেশন 2023 -:
১. বিজ্ঞান ও কুসংস্কার
২. পরিবেশ রক্ষায় বনসৃজন/অরন্য ও অরন্য প্রাণী সংরক্ষণ/বন ও বন্যপ্রাণী এক্সকুসি সংরক্ষণ/একটি গাছ একটি প্রাণ
৩. তোমার জীবনের লক্ষ্য 👈Click Here
৪. বাংলার ঋতু বৈচিত্র/ বাংলার ঋতু উৎসব
৫. বাংলার উৎসব 👈Click Here
:-:-:-:-:-:-:-:-:-:-:-:-:-:-:-:-:-:-:-:-:-:-:-:-:-:-:-:-:-:-:-:-:-:-:-:-:
১.বিজ্ঞান বনাম কুসংস্কার / বিজ্ঞান ও কুসংস্কার / বিজ্ঞান মনস্কতা ও কুসংস্কার / কুসংস্কার প্রতিরোধে ছাত্র সমাজের ভূমিকা।
ভূমিকা:-
পরীক্ষা দিতে যাওয়ার সময় হঠাৎ করে রাস্তায় একটি বিড়াল রাস্তা কেটে চলে গেল। আমার মা বলেছিল এটা নাকি অশুভ তাই আমি কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে গেছিলাম, কিন্তু ফলস্বরুপ আমার দাঁড়ানোটাই কাল হলো পরীক্ষা দিতে গিয়ে আমার খুব দেরি হয়ে গিয়েছিল যার ফলে পরীক্ষাটা শেষ করতে পারিনি - এমনই হাজার সংস্কারের ওপর আমাদের বিশ্বাস রয়েছে কিন্তু বিজ্ঞান প্রমাণ করে দিয়েছে এগুলো আসলে কোনো সংস্কার নয় কুসংস্কার।
বিজ্ঞান কাকে বলে:-
অনুসন্ধান বা ভিত্তিতে কোন কিছুর সত্যতা প্রমাণ করাই হলো আসলে বিজ্ঞান। অর্থাৎ সঠিক বুদ্ধি এবং বিবেচনার মাধ্যমে এবং বিচার করে কোন কিছু সত্যতা কে মেনে নেওয়ার নামই হল বিজ্ঞান।
কুসংস্কার কাকে বলে:-
কুসংস্কার শব্দটির মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে এক মন্দ দিক। শব্দটির অর্থ হলো 'কু' অর্থাৎ খারাপ যে সংস্কার। এক কথায় বলতে গেলে যে সমস্ত প্রথা বা আচার-অনুষ্ঠান আমাদের যুক্তিহীন কাজে লিপ্ত করতে উৎসাহ প্রদান করে তাকেই কুসংস্কার বলে।
আধুনিক যুগের আধুনিক কুসংস্কার:-
আজকের দিনে যেখানে আমরা মহাকাশযানে করে মহাশূন্যে গিয়ে মঙ্গল জয় করে আসছি সেখানে আমাদের দেশের বা পৃথিবীর অনেক মানুষই এখনো কুসংস্কারের অন্ধকারে ভুগছেন বৈকি। আধুনিক স্মার্ট ফোন নিয়েও আমরা কুসংস্কারের আরাধনা করে চলেছি। যেমন ফেসবুকে আমরা দেখতে পাই কোন দেবতা বা কোন কিছু ছবি পোস্ট করে লেখা থাকে যে এটিকে শেয়ার না করলে তোমার মা মারা যাবে বা এদিকে শেয়ার করলে পরেরদিন কিছু ভালো খবর পাবে এবং আমরা এই পোষ্ট গুলি কে হয়তো ভয় বা অন্ধ বিশ্বাস করে অন্যদেরকে শেয়ার করি যার ফলে এই কুসংস্কার আরো বৃদ্ধি পায়। আজ একবিংশ শতাব্দীর বুকে দাঁড়িয়ে এইধরনের জিনিসের উপর আমাদের বিশ্বাস করা খুবই লজ্জার বিষয়।
কুসংস্কার দূরীকরণে পদ্ধতি :-
কুসংস্কারের জাল এত বাজে ভাবে সমাজের জড়িয়ে গেছে তার জট ছাড়ানো একদিনের কাজ নয় এটি করতে বহু দিনের তপস্যা প্রয়োজন। তবে কিছু দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপ প্রয়োগ করা যেতে পারে। যেমন - ১. শিক্ষা ও বিজ্ঞান চেতনার প্রকাশ ঘটাতে হবে। ২. সংবাদপত্র ও দূরদর্শনের কুসংস্কার বিরোধী নানা অনুষ্ঠান প্রচার করতে হবে ।
৩. বিজ্ঞানের মধ্যমে মানুষকে সংস্কার এবং কুসংস্কার এর পার্থক্যটা বোঝাতে হবে।
কুসংস্কার প্রতিরোধে ছাত্র সমাজের ভূমিকা:-
একমাত্র শিক্ষার্থীরাই পারে মানুষের মনে যুক্তি বুদ্ধি এবং ক্ষমতার জন্ম দিতে। তাদেরকে সমাজের সামনে এগিয়ে আসতে হবে কিন্তু সর্বপ্রথম তাদের নিজের পরিবারের সদস্যদের বোঝাতে হবে কুসংস্কার এর খারাপ দিক এবং বিজ্ঞানের কল্যাণকর দিকগুলি তবেই কিছু পরিবর্তন সম্ভব। কিছু পথনাটক আলোচনা সভার মাধ্যমে আমরা অর্থাৎ ছাত্রছাত্রীরা বিভিন্ন অল্প শিক্ষিত বা অশিক্ষিত মানুষের বিজ্ঞান সচেতন করে তুলতে পারলেই কুসংস্কারের এইযে জালটা এটাকে আমরা ছিড়ে ফেলতে পারবো আমাদের জীবন থেকে।
উপসংহার :-
চলন্ত পাথরে কোন কখনো শ্যাওলা জমে না তাই কুসংস্কারের চক্রব্যূহে আবদ্ধ না থেকে আমাদের সদা সচল হয়ে সময়ের সঙ্গে তাল রেখে সম্মুখপানে এগিয়ে চলতে হবে বিজ্ঞান কে বরণ করে নিতে হবে মনে রাখতে হবে যে কুসংস্কার সভ্যতার রথচক্রকে পিছনের দিকে টানে। তাই আমাদের এই কুসংস্কারের জাল কেটে সামনের দিকে অগ্রসর হওয়া খুবই আবশ্যক ।
:-:-:-:-:-:-:-:-:-:-:-:-:-:-:-:-:-:-:-:-:-:-:-:-:-:-:-:-:-:-:-:-:-:-:-:-:-:
टिप्पणियाँ
एक टिप्पणी भेजें